নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে একটি দিনমুজুর পরিবারের বসতভিটা জবরদখলে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি, পরবর্তীতে ওই টাকা না পেয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে একটিদল। গত ২২ সেপ্টেম্বর বেলা এগারটার দিকে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
এ ঘটনায় আক্রান্ত দিনমুজুর পরিবারটির গৃহকর্তা এনামুল হক বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী মামলা করেছেন। এজাহারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার নুরুল আবছার, সহযোগি সামসুল আলম, ছৈয়দ আলম, বশির আহমদ, আজিজুল হক, আবদুল জব্বার, হেলাল উদ্দিন, মনু, নোমান, রোবান ও জোবাইরসহ ১১জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদি এনামুল হকের নালিশী মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কক্সবাজারের ইউনিট প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বালুরচর গ্রামের ফরিদ আহমদের ছেলে এনামুল হক দাবি করেন, উপজেলার ডুলাহাজারা মৌজার বিএস ৮২৯ নং খতিয়ানের বিএস ৩২৫০ দাগের ১০ শতক জমি তাঁর দাদি সুফিয়া খাতুনের নামীয় সম্পত্তি। ইতোমধ্যে জমির বিপরীতে বিএস খতিয়ানও চুড়ান্ত হয়েছে। খাজনাও দিয়ে আসছেন তিনি। উল্লেখিত জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখলে আছেন।
ভুক্তভোগী এনামুল হক মামলার এজাহারে বলেন, তিনি পেশায় দিনমুজুর, কখনো মাছ ধরে, কখনো চাষাবাদ করে আবার কখনো দিনমুজুর কাজ করে সংসার চালান। এ অবস্থায় সম্প্রতি সময়ে কতিপয় মহলের ইন্ধনে দুর্লোভের বশবর্তী হয়ে বাড়িভিটার ওই জমিটি জবরদখলে চক্রান্ত শুরু করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নুরুল আবছার।
বাদি এনামুল হক অভিযোগ তুলেছেন, কিছুদিন আগে মেম্বার নুরুল আবছার তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করেন। নইলে বসতভিটার জায়গাটি ছেঁেড় দিতে হবে বলে হুমকি দেন। সর্বশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর বেলা এগারটার দিকে অভিযুক্তরা বাড়িতে এসে প্রথমে তাঁর স্ত্রী ছাবেকুন্নাহারের কাছে দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন। গৃহকর্তা এনামুল হক বলেন, ওইসময় আমি বাড়িতে ছিলাম না, টাকা দাবির বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন অভিযুক্ত আসামিরা। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়িতে হামলা চালিয়ে মাটির দেয়াল ভাংচুর করে। বাঁধা দিতে গেলে আমার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শাররীক নির্যাতন করে হামলাকারীরা।
মামলার এজাহারে বাদি এনামুল হক উল্লেখ্য করেছেন, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার সময় হামলাকারীরা তাঁর বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটে নিয়ে গেছে। তৎমধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ বাবত নেয়া নগদ ২৫ হাজার টাকা, আট হাজার টাকা দামের চারটি চেয়ার, তিন হাজার টাকা দামের একটি টেবিল, দশ হাজার টাকা দামের ৫০ আড়ি ধান, ৫২ হাজার টাকা দামের স্বর্ণালঙ্কার, ১২ হাজার টাকা দামের চারটি ঝাকি জাল, দশ হাজার টাকা দামের ক্রোকারিজ সামগ্রী ও ১৬ হাজার টাকা দামের চার বান ঢেউটিন। ##
পাঠকের মতামত: